Kartik Puja Pushpanjali Mantra Bengali

২০২৫ সালের কার্তিক পূজার তারিখ ও সময়

  • পূজা দিবস: ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ (সোমবার)
  • বাংলা তারিখ: ৩০শে কার্তিক, ১৪৩২
  • সংক্রান্তি তিথি শুরু: ১৬ নভেম্বর, ২০২৫ (রবিবার) সন্ধ্যা ০৭:১২ মিনিটে।
  • সংক্রান্তি তিথি শেষ: ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ (সোমবার) সন্ধ্যা ০৭:০৩ মিনিটে।
  • কার্তিক পূজার মুহুর্ত:
    • প্রদোষে পূজার মুহুর্ত: ১৬ নভেম্বর, বিকেল ০৪:৫৩ থেকে সন্ধ্যা ০৭:১৭ পর্যন্ত।

✨ কার্তিক পূজার আর বাকি...

00 দিন : 00 ঘণ্টা : 00 মিনিট : 00 সেকেন্ড

Kartik Puja is held on the last day of the Bengali month of Kartik, known as Kartik Sankranti. Devotees offer prayers to Lord Kartik, the son of Shiva and Parvati, for bravery, success, and prosperity. Here you will find the Kartik Puja Dhyan Mantra, Pranam Mantra, and Pushpanjali Mantra in Bengali.

কার্তিক পূজা সাধারণত কার্তিক মাসের শেষ দিনে, অর্থাৎ সংক্রান্তিতে অনুষ্ঠিত হয়। ভগবান কার্তিক, দেবাদিদেব মহাদেব ও মা দুর্গার পুত্র, শৌর্যের প্রতীক। ভক্তরা তাঁর কাছে সন্তান প্রার্থনা, পরিবারের মঙ্গল এবং যুদ্ধে জয়লাভের জন্য আরাধনা করেন।

Kartik Puja Mantra in Bengali

[ধ্যান মন্ত্র]

ওঁ কার্ত্তিকেয় মহাভাগং ময়ুরোপরীসংস্থিতম।

তপ্তকাঞ্চনবর্ণাভং শক্তিহস্তং বরপ্রদম্।।

দ্বিভূজং শত্রুহন্তারং নানালঙ্কারভুষিতম।

প্রসন্নবদনং দেবং কুমারং পুত্রদায়কম্।।

ব্যাখ্যা: এটি ধ্যান মন্ত্র। এতে ভগবান কার্তিকের রূপ বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি ময়ূরের উপর আসীন ('ময়ুরোপরীসংস্থিতম'), তাঁর গাত্রবর্ণ তপ্ত কাঞ্চনের (গরম সোনার) মতো। তিনি বরপ্রদায়ী এবং তাঁর হস্তে 'শক্তি' নামক অস্ত্র। তিনি দ্বিভুজ, শত্রুহননকারী, নানা অলঙ্কারে ভূষিত, প্রসন্নবদন এবং পুত্রদায়ক কুমার।

প্রতীকী অর্থ: এই ধ্যানের মাধ্যমে দেবতাকে আবাহন করা হয়। ময়ূর হল সৌন্দর্য, শৌর্য ও সংযমের প্রতীক। তপ্ত কাঞ্চন বর্ণ তাঁর দিব্য তেজ ও পবিত্রতার প্রতীক। 'শক্তি' অস্ত্র অশুভ শক্তিকে বিনাশ করার ক্ষমতা বোঝায়। তাঁকে "পুত্রদায়ক" রূপে আরাধনা করা হয় সন্তান লাভের কামনায়।

[প্রণাম মন্ত্র]

কার্ত্তিকেয় মহাভাগ দৈত্যদর্পনিসূদন।

প্রণতোহহং মহাবাহো নমস্তে শিখিবাহন।।

ব্যাখ্যা: এটি প্রণাম মন্ত্র। ভক্ত বলছেন, "হে মহাভাগ কার্তিকেয়, আপনি দৈত্যদের দর্প বা অহংকার চূর্ণ করেছেন ('দৈত্যদর্পনিসূদন')। হে মহাবাহু, আমি আপনাকে প্রণাম জানাই। হে ময়ূরবাহন ('শিখিবাহন'), আপনাকে নমস্কার।"

প্রতীকী অর্থ: প্রণাম মন্ত্র হল বিনয় ও শ্রদ্ধার প্রতীক। ভক্ত দেবতার কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করেন। দেবতাকে "দৈত্যদর্পনিসূদন" (অহংকার বিনাশকারী) বলে সম্বোধন করে ভক্ত নিজের ভেতরের অশুভ শক্তি (যেমন অহংকার, ক্রোধ) দমনের জন্য তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করেন।

[পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র]

কার্ত্তিকেয় মহাভাগ গৌরীহৃদয় নন্দন।

দেবসেনাপতি শ্রীমন্ বঞ্ছিতার্থঞ্চ দেহি মে।।

কার্ত্তিকেয় মহাভাগ পার্ব্বতী প্রিয়নন্দন।

ভবস্তু তৎ প্রসাদেন ধনধান্যাদি সম্পদঃ।।

রুদ্রপুত্র নমস্ত্তভ্যং তারকান্তকর প্রভো।

বাঞ্ছিতার্থঞ্চ দেহি মে কার্ত্তিকেয় নমোহস্তু তে।।

ব্যাখ্যা: এটি পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র। ভক্ত বলছেন, "হে মহাভাগ কার্তিকেয়, মা গৌরী (পার্বতী)-এর হৃদয়ের আনন্দ ('গৌরীহৃদয় নন্দন'), হে দেবতাদের সেনাপতি, আমার কাঙ্ক্ষিত ইচ্ছা ('বঞ্ছিতার্থঞ্চ') পূর্ণ করুন।" তিনি আরও বলেন, "হে পার্বতীর প্রিয় পুত্র, আপনার কৃপায় আমার যেন ধন, ধান্য আদি সম্পদ লাভ হয়।" "হে রুদ্রপুত্র (শিবের পুত্র), তারকাসুরের হত্যাকারী ('তারকান্তকর'), আপনাকে প্রণাম। আমার ইচ্ছা পূর্ণ করুন, হে কার্তিকেয়, আপনাকে নমস্কার।"

প্রতীকী অর্থ: পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে ভক্ত নিজের সমস্ত ইচ্ছা, কামনা, এবং ভক্তি দেবতাকে সমর্পণ করেন। এই মন্ত্রে দেবতাকে তাঁর গুণের (দেবসেনাপতি) এবং বংশপরিচয়ের (গৌরীপুত্র, রুদ্রপুত্র) মাধ্যমে স্তুতি করে জাগতিক সমৃদ্ধি (ধনধান্য) এবং মনস্কামনা পূরণের জন্য প্রার্থনা করা হয়।

Kartik Puja Poem in Bengali (কার্তিক পূজার কবিতা)

যারা ছোট কার্তিক ঠাকুর এর মূর্তি রেখে আসতে চাও কারোর বাড়িতে অথবা বাড়ির সামনে, তাদের জন্য কবিতা। নিম্নলিখিত কবিতাটি তারা ব্যবহার করতে পারো।

মা... মা... মা... দুয়ার খোলো

বাহির পানে চোখটি মেলো

আমি তোমার দামাল খোকা

দাঁড়িয়ে আছি একলা একা।


হাতে আমার ক্ষীরের হাঁড়ি

বিলিয়ে দিও বাড়ি বাড়ি,

পেরিয়ে এলাম আঁধার কালো

এবার উঠোন তোমার করব আলো।


বাইরে ভীষণ শীতের নাচন

ঠান্ডা হাওয়ায় লাগছে কাঁপন

মাগো তুমি খোকন বলে

নাও গো আমায় কোলে তুলে।।

326404665953066090
326404665953066090